মালাই কুলফি

উপকরণ: মিল্কভিটা দুধ ২ লিটার, চিনি ৩০০ গ্রাম, এলাচ ৭/৮টি, দারুচিনি ৪/৫টি, তেজপাতা ২টি, মাওয়া ২০০ গ্রাম।
 

প্রস্তুত প্রণালি: দুধ, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা দিয়ে জ্বাল করে যখন দুধের পরিমাণ অর্ধেক হবে, তখন চিনি ও মাওয়া গ্রেট করে মিশিয়ে দিতে হবে। হাল্কা আঁচে দুধ ভালোমতো জ্বাল দিতে হবে। দুধ যখন ঘন হয়ে যাবে তখন তা ছেঁকে নিতে হবে। এর পর দুধ কুলফির গ্গ্নাসে ঢালতে হবে। দুধ ঠাণ্ডা হলে ডিপফ্রিজে রাখতে হবে কুলফি জমার জন্য। কুলফি জমানোর জন্য অন্তত ১২ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখতে হবে।

সারা বছর ঠোঁট ফাটা!

 কারণ
আমাদের ঠোঁটের ত্বক পাতলা। ঠোঁটের সাজে আমরা কমবেশি সবাই লিপস্টিক বা লিপগ্লস ব্যবহার করি। এসব প্রসাধনীর মান ভালো না হলে তা ঠোঁটের ত্বককে রুক্ষ ও কালচে করে। অনেকেই আবার জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজান, দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ান। সেকারণেও ঠোঁট শুষ্ক ও রুক্ষ হয়। আবার নখ দিয়ে ঠোঁটের চামড়া টেনে তুললেও ঠোঁট শুষ্ক হতে পারে।

সমাধান
*সামান্য ময়দা, লেবুর রস ও দুধ মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে আঙুল দিয়ে হালকা করে ঘষে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুই দিন এমনটা করলে ঠোঁটের মরা চামড়া চলে যাবে।
*কাঠবাদাম বাটা ও দুধের সর একত্রে মিশিয়ে লাগালে ঠোঁট নরম থাকে।
*গোলাপের পাপড়ি বেটে সঙ্গে গি্লসারিন মিশিয়ে লাগানো যেতে পারে, যা কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
*প্রতি রাতে বিট অথবা লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে লাগালে কালো দাগ দূর হতে পারে।
*ঠোঁটে ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে মাখন লাগানো যেতে পারে, যা ত্বক ফাটা দূর করে ও নরম রাখে।
*নারিকেল তেল, চন্দন বাটা ও গোলাপজল একত্রে লাগিয়ে ঘুমাতে যাবেন এবং পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলবেন।
* চালের গুঁড়া সামান্য পানিতে মিশিয়ে প্রতি রাতে ঠোঁটে ব্যবহার করুন। ঠোটের ওপরের মরা চামড়া পরিষ্কার উঠে যাবে।
ছবি : কাকলী প্রধান, মডেল : এষা

টিপস
* ঠোঁটে খুব বেশি লিপস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো আর যদি করতে হয় তাহলে ভালো ব্র্যান্ডের করা উচিত।
* শুষ্ক ঠোঁটে ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না। গ্লসি লিপস্টিক এ ধরনের ঠোঁটের জন্য ভালো।
* বাইরে বের হওয়ার আগে ঠোঁটেও সানস্কিন ক্রিম লাগাতে হবে।
* শুষ্ক ঠোঁট কখনোই জিভ দিয়ে ভেজাবেন না। সবসময় লিপজেল
ব্যবহার করুন।
* নখ দিয়ে ঠোঁটের চামড়া টেনে তুলবেন না। রাতে শোবার আগে ঠোঁটে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখুন। সকালে পাতলা সুতি কাপড় ভিজিয়ে আঙুল দিয়ে হালকা করে ঘষে মরা চামড়া তুলে ফেলুন।

কোলেস্টেরল তাড়ান

শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। নিয়ম মেনে খাবার খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে যেসব খাবার খাদ্যতালিকায় রাখবেন বা বাদ দেবেন তা জেনে নিন।
 
আঁশযুক্ত খাবার খান : সবুজ শাকসবজি, সালাদ, ছোলা, বুট, টক ফল, খোসাসহ পেয়ারা, আমলকী, কামরাঙা, আমড়া, লেবু ও বরই।
 
চর্বিজাতীয় খাবার কম খাবেন : উপকারী ফ্যাট বা অসম্পৃক্ত ফ্যাটজাতীয় খাবার খাওয়া ভালো। সব রকমের মাছ, সামুদ্রিক মাছ, উদ্ভিজ্জ তেল, কর্নঅয়েল, সানফ্লাওয়ার অয়েল, সয়াবিন তেল, সরিষার তেল (ক্যালরি অনুযায়ী)।
 
পরিমিত পরিমাণে খাবেন : শর্করাজাতীয় খাবার, দুধ বা দুধের তৈরি খাবার (সর ছাড়া দুধ), চিনি-মিষ্টিজাতীয় খাবার।
বাদ দেবেন : খাসির মাংস, মাংসের চর্বি, গরুর মাংস (রানের মাংস মাসে দু-তিনবার অল্প পরিমাণে খেতে পারেন), মগজ, কলিজা, গলদা চিংড়ি, মাছের ডিম, ডিমের কুসুম (ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন), হাঁস ও মুরগির চামড়া, হাড়ের মজ্জা, ঘি, মাখন, ডালডা, নারিকেল ও মার্জারিন।
কোলেস্টেরল কমায় : মেথি, করলার রস ও ইসবগুলের ভুসি। এগুলো রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
শরীরের ওজন বেশি হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই নিচের নিয়মগুলো মেনে চলুন_
*সুযোগ পেলেই হাঁটুন।
*ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ছেড়ে দিন।
*টেস্টিং সল্ট অথবা লবণ রান্নায় কম খাবেন না, খাবারে কাঁচা লবণ খাবেন না।
*ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

টিপস
খাবার তৈরির সঙ্গে ক্যালরি বাড়ে ও কমে, যা ওজনে প্রভাব ফেলে। তাই রান্নার সময় খেয়াল রাখুন_
*ডুবো তেলে ভাজা খাবার খাবেন না।
*ভাজার চেয়ে গ্রিল করা খাবার ভালো।
*বেশি মসলা বা চর্বিজাতীয় খাবার খাবেন না।
*খাবার কম তেলে রান্না করুন।

টিপস


 *বেগুন ও কাঁচকলা কেটে রাখলে কালো হয়ে যায়। পানিতে সামান্য দই দিয়ে কাটা কাঁচকলা ও বেগুন ডুবিয়ে রাখুন কালো হবে না।
 
*পেঁয়াজ-রসুন কাটার পর হাতে গন্ধ থাকে। সামান্য লেবুর রস বা শর্ষের তেল মাখুন। এরপর হাত ধুয়ে নিন।
 
*মাছে লবণ, হলুদ ও সামান্য ভিনেগার দিয়ে ফ্রিজে রাখলে বাসি গন্ধ হবে না; ফ্রিজেও আঁশটে লাগবে না।
 
*অনেক সময় চিংড়ি মাছে গন্ধ লাগে। রান্না করার আধা ঘণ্টা আগে লেবুর রস ও সামান্য লবণ মাখিয়ে রাখুন; এরপর পরিষ্কার করে ধুয়ে রান্না করুন। মাছ বা অন্যান্য সি-ফুড রান্নার সময় এভাবে লেবু-লবণ মাখিয়ে ধুয়ে নিন। আঁশটে গন্ধ হবে না।
 
*আচার শেষ বোতল পরিষ্কার করার পরও গন্ধ থাকে। ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে বোতলে ফেলে ঢাকনা বন্ধ করে রাখুন। কিছুক্ষণ পর সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, গন্ধ থাকবে না।
 
*কাঁচা মুগডাল ভেজে পানি দিয়ে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখবেন, তাহলে ডালের রং আর কালো হবে না। ধুয়ে রান্না করলে ডালটাকে দেখতে উজ্জ্বল দেখাবে এবং তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়ে চালের সঙ্গে মিশে যাবে।
 
*পাউরুটি, জিলাপি বানানোর ইস্ট বাসায়ই বানান। বাটিতে ময়দা গুলিয়ে তিন দিন রেখে শুকিয়ে নিন। যখন দরকার হবে এখান থেকে এক টুকরা নিয়ে ব্যবহার করবেন।
 
*পাউরুটি বেশিদিনের বাসি হয়ে গেলে ফেলে দেবেন না, রোদে শুকিয়ে নিন। কড়া হয়ে গেলে গুঁড়ো করে বোতলে ভরে রাখুন। যখন ব্রেড ক্রাম লাগবে তখন ব্যবহার করুন।
 
*বালতি কিংবা অন্য কোনো প্লাস্টিকের জিনিসে মরিচার দাগ পড়লে তারপিনের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ঘষুন। দাগ নিমিষে উঠে যাবে।

পা উ রু টি র কা ট লে ট




উপকরণ :পাউরুটি স্লাইস ৬টি, বিস্কুটের গুঁড়া প্রয়োজনমতো, কাঁচামরিচ ২টি, ডিম ২টি, রসুন (কোয়া) ২-৩টি, লবণ পরিমাণমতো, তেঁতুল সামান্য, চিনি সামান্য, তেল ভাজার জন্য। 
 
প্রণালি :পাউরুটি চৌকো করে কেটে দুই ভাগ করুন। কাঁচামরিচ, রসুন, তেঁতুল একসাথে বেটে চাটনি তৈরি করে নিন। এতে লবণ ও চিনি মিশিয়ে নিন। এবার এক টুকরো পাউরুটিতে চাটনি লাগিয়ে অপর একটি পাউরুটি দিয়ে ঢেকে দিন। ডিম ফেটিয়ে নিন। ফেটানো ডিমে পাউরুটিগুলো ডুবিয়ে তাতে বিস্কুটে গুঁড়া লাগিয়ে মচমচে করে ভাজুন। সসের সাথে পরিবেশন করুন মজাদার পাউরুটির কাটলেট।

RELISH RECIPEZ Copyright © 2009 Designed by Ipietoon Blogger Template for Bie Blogger Template Vector by DaPino